বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ১১:৫৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
আবু হোসেন বাবু তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের হৃদয়ের মনিকোঠায় স্থান করে নিয়েছে: হেলাল চিংড়ি চাষে উপকুলীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে সফল চিংড়ি চাষী রিপন পাইকগাছায় ঘেরের জমির বিরোধে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান পরিবারের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা ওব্যাট জুনিয়র হাই স্কুলের সাড়ে ছয় শত শিক্ষার্থীদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ ৫ দফা দাবিতে খুলনার ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ২য় দিনের ২ঘন্টা কর্মবিরতি অব্যহত ধর্ষকের বিচারের দাবি আমজনতার দল খুলনার মানববন্ধন তেরখাদায় ধর্ষণ মামলার আসামী গ্রেফতার তেরখাদা কৃষি অফিসের উদ্যোগে আদমপুর এলাকায় মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত তেরখাদায় জামায়াতে ইসলামীর আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল তেরখাদায় জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও মহড়া

ধর্ষকের বিচারের দাবি আমজনতার দল খুলনার মানববন্ধন

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১১ মার্চ, ২০২৫
  • ২৪ বার

খুলনা ব্যুরো

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি রোধ, নারীর প্রতি অবমাননা বন্ধ এবং ধর্ষকদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে আমজনতার দল খুলনা। গতকাল ১১ মার্চ মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার দিকে খুলনা মহানগরীর শিববাড়ী মোড়ে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। আমজনতার দল এর কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও খুলনা বিভাগীয় সমন্বয় সাংবাদিক মোঃ সাইফুল্লাহ বাবুর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে প্রধান অতিথি ছিলেন আমজনতার দল, এর কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও খুলনা বিভাগীয় সমন্বয় তামান্না ফেরদৌস শিখা। বক্তব্য রাখেন , আমজনতার দল খুলনার সদস্য মিশকাত শরীফ, মোঃ তুহিন ইসলাম, মাসুম, খুলনা সাহিত্য একাডেমির সাধারন সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রদলের নেতা মল্লিক জাহিদুল ইসলাম, প্রকৌশলী রবি আহম্মেদ, গণসংহতি আন্দোলন খুলনা জেলার সদস্য নাজমুল তারেক তুষার, খোকন, মনির, মাসুদ, হারুন প্রমুখ।
দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তামান্না ফেরদৌস শিখা বলেন, গত জানুয়ারি মাসে ধর্ষনের স্বীকার হয় ৩৯ জন নারী। সংঘবদ্ধ ভাবে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে ১৮ টি।কলঙ্কিত ফেব্রুয়ারিতে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে ৫৭ জন, সংঘবদ্ধভাবে ঘটে ১৭ টি। এর মধ্যে শিশু ছিল ১৬ জন, কিশোরী ১৭ জন এবং প্রতিবন্ধী ৫ জন।যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটে ২৬ টি। এগুলো তো মামলা হয়েছে। এর বাইরেও প্রতিদিন শত শত ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। শিশু, বৃদ্ধ, যুবতি, কিশোরী কেউ নিরাপদ না এই বিকৃত গোষ্ঠীর কাছে। নারীরা নিরাপত্তা চায়। ধর্ষণের আইন সংশোধন করে দ্রুতই অপরাধী কে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। আমরা আর কোন আছিয়া, তনু, পূর্নিমা কে দেখতে চাই না।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমরা সবাই আছিয়ার ধর্ষণের কাহিনি জানি। এমন অনেক ধর্ষণ হয় যার খবর আমরা জানি না। আমাদের সামনে আসে না, অনেকে ভয়ে প্রকাশ করে না। এভাবে ধর্ষন বাড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে ধর্ষকদের উপযুক্ত সাজা না হওয়া। ১০ হাজার ২০ হাজার টাকা দিয়ে, হুমকি ধামকি দিয়ে তারা আবার মুক্ত আকাশের নিচে ঘুরে বেড়ায়। আমাদের দাবি, আমরা ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই, প্রকাশ্যে এনে যেন ফাঁসি দেওয়া হয়। যেন সামনে কোন ধর্ষক কাউকে ধর্ষণের কথা চিন্তাও না করতে পারে। আমাদের সবাইকে একসঙ্গে মিলে ধর্ষকদের প্রতিহত করতে হবে। বক্তারা আরো বলেন, দেশব্যাপী নারীর প্রতি যে সহিংসতা চলছে তারই প্রতিবাদে আমরা এখানে দাঁড়িয়েছি। প্রতিবাদ করলেই যদি সমস্যা সমাধান হতো তাহলে হয়তো আমাদের এখানে দাঁড়াতে হতো না। এটার মানে স্পষ্ট যে আমাদের দেশের মানুষ হোক নারী বা পুরুষ কোনোভাবেই নিরাপদ নয়। প্রশাসনের এদ্দশ্য করে বক্তারা বলেন, ধর্ষণ, নারী নিপীড়নের বিচার দ্রুততম সময়ে নিশ্চিত করতে হবে। অবশ্যই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতি করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি না করেন তাহলে আমরা আপনাদের দিকে আঙ্গুল তুলতে বাধ্য হবো। প্রতিদিন খুলনার মানুষ ছিনতাইকারী দারা আক্রান্ত হচ্ছে। এভাবে চলতে পারেনা। আপনারা খুলনার আইনশৃঙ্খলার দ্রুত উন্নতি করুন। আছিয়াসহ বিভিন্ন ধর্ষণ ঘটনার দ্রুততম সময়ে তদন্ত শেষ করে বিচার সম্পন্ন করুন। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে দেশবাসী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির আশা করলেও ঘটেছে তার উল্টো।খুলনাসহ সারা দেশে গত ৬ মাসে প্রায় সব সূচকে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটেছে। খুলনার মানুষ সন্ধ্যার পর এখন বাসার বাইরে বের হতে ভয় পায়। চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইয়ে অতিষ্ঠ খুলনার মানুষ।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2025 KhulnarAlo
Theme Customized By BreakingNews