খুলনার রূপসা ভৈরব নদে প্রতি বছর এ এলাকায় নদীভাঙনে বিপুল সংখ্যক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ আতঙ্কে রয়েছে রহিম নগর এলাকায় ভাঙ্গন কবলিত মানুষ। ভৈরব নদ বুকে হারিয়ে গেছে হাজারও বাড়ি ঘর ও কৃষি জমি। নদী তীরে ঘর-বাড়ি গুলো ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পেতে মানুষেরা জানান, অবৈধ ভাবে বালু তুলে বিক্রি কড়ায় অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন ঝুঁকিপূর্ণ ভাঙনের কারণ। এই ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পেতে দপ্তরে দপ্তরে আবেদনের কমতি করিনি। আগে পরে বড় বড় অফিসাররা আসছে শুধু দেখে যায় কেউ কোন সূরাহ করে না।
লাইলি বেগম রহিম বলেন, আমরা এখানে ছেলেমেয়ে নিয়ে এক সাইডে থাকি। আমরা সাহস পাই না ঘরে থাকতে। ভাঙতে ভাঙতে এই অবস্থায় আইছে। কেউ কোনো আমাদের ব্যবস্থা করেনি। এখন যদি সরকারের দয়া হয়। আমরা বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে বাঁচতে পারব।
মোঃ মফিদুল ইসলাম রহিম বলেন, দীর্ঘ ১২-১৪ বছর ধরে নদীগর্ভে আমার ছয় বিঘা ৭ বিঘা জমি চলে গেছে এখন বাকি এই ঘর দুটোও যাওয়ার পথে। নদীতে ঢেউয়ের শব্দ পেলে রাত্রে আমরা উঠে বসে থাকি ভয় যে কোন পাশ দিয়ে ভেঙে চলে গেল। আগে পরে বড় বড় অফিসাররা আসছে শুধু দেখে যায় কেউ কোন সূরাহ করে না।
রূপসা রহিম নগর ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরির্দশনে আসেন পানি উন্নয়ন বোর্ড ২ খুলনা উপ-পরিচালক আব্দুর রহমান তাকসিয়া।
তিনি বলেন নদীর বালু উত্তোলনের ফলে ভাঙ্গনার কারণ হলে কোথা থেকে বালি উত্তোলন চলছে সেটা আমাদের জানালে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
ভাঙ্গনের স্থানগুলো পরিদর্শন করে গেলাম আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানাবো। এবং এখানের পরিস্থিতি দুর্ভোগের কথা আমরা বর্ণনা করবো। এসি ছাড়ো দেখে গেছেন। তাদের অনুমতি ক্রমে এখানে ইমারজেন্সি টেম্পোরারি ওয়ার্কের ব্যবস্থা করুন করব।