রূপসা প্রতিনিধিঃ খুলনা ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতি, শ্রমিক ইউনিয়ন ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠন খুলনা জেলা শাখার আয়োজনে আকস্মিক ইট ভাটা বন্দের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ, মানববন্ধন ও খুলনা জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে ইটভাটা মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ। গতকাল ৬ মার্চ সকাল থেকে খুলনা মহানগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ণ সড়কে বিক্ষোভ মিছিল শেষে দুপুরে
খুলনা জেলা প্রশাসক মোঃ সাইফুল ইসলাম
বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির খুলনা জেলা শাখার সভাপতি শাহজাহান জমাদ্দার। এ সময় বক্তৃতা করেন মালিক সমিতির উপদেষ্টা ইদ্রীস আহম্মেদ জমাদ্দার, সাধারণ সম্পাদক শেখ আব্দুস সাত্তার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামিম আহম্মেদ জমাদ্দার, খুলনার আলো সম্পাদক ও ভাটা মালিক, জাকির হোসেন জমাদ্দার, ভাটা মালিক মোল্লা বাশির আহম্মেদ, মোল্লা এনামুল কবির, মোঃ শামীম আহম্মেদ সরদার, শ্রমিক নেতা নাসির ফকির, বাবু শেখসহ আরো অনেকে। নেতৃবৃন্দ এ সময় বলেন, দেশে ইটভাটা মানিকগন বিগত ৩৫/ ৪০ বছর যাবত অনেক প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে ইট ভাটার ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। আর এ ইট দিয়ে রাস্তাঘাট, ঘরবাড়িসহ দেশের অবকাঠামো নির্মাণে ব্যবহৃত ইট সরবরাহ করে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে আসছে। তাছাড়া দেশের উন্নয়নের সঙ্গে সমতা রেখে আমরা ইটভাটার মানিকগন বায়ুদূষণ রোধে সরকার নির্দেশিত আধুনিক প্রযুক্তির ভাটা স্থাপন করে জ্বালানি সাশ্রয়ী, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসছি। যার কারণে দেশের ইটভাটা মাত্র ৫ থেকে ১০% বায়ু দূষণ করছে। তাছাড়া বিদ্যমান জিগজ্যাগ ভাটায় আরও অধিকতর উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে পরিবেশ দূষণ কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে এই শিল্পে প্রায় ৫০ লক্ষ শ্রমিক কর্মরত রয়েছে। তাদের মাধ্যমে প্রায় ২ কোটি মানুষের রুটি রোজীর ব্যবস্থা হচ্ছে। তাই এই মুহূর্তে ইটভাটা বন্ধ হয়ে গেলে সবাই বেকারগ্রস্ত হয়ে পড়বে। তাছাড়া প্রতিটি ইটভাটার বিপরীতে ১ কোটি টাকার উপরে ব্যাংক লোন রয়েছে। ফলে এই মুহূর্তে ভাটা বন্ধ হয়ে গেলে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকার ব্যাংক অনাদায়ী থেকে যাবে। যার কারণে ২০২৫ সালে ইট পোড়ানোর মৌসুম শেষ হলে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে কমিটি গঠন করে ইটভাটা মালিক সমিতির সমন্বয়ে নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করার দাবি জানানো হয়। এছাড়া ইটভাট বন্ধ হলে লক্ষ লক্ষ শ্রমিক পরিবার পথে বসবে। ভেঙ্গে পড়বে দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি। হত্যা গুম, খুন, চুরি, ডাকাতিসহ নানা অপরাধ মুলক কর্মকান্ড বেড়ে যাবে বলে আশংকা করছে সুশীল সমাজের চিন্তাবীদরা।